বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল হল বিএনপি। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের অবস্থান খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ দলের চেয়ার পারসন খালেদা জিয়া জেলে থাকায় আরও বিপর্যস্ত দলটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই নির্বাচনের জন্য সরকারকে চারটি শর্ত পূরণ করতে হবে। তিনি বলেন, প্রথমত বর্তমানে বিএনপির চেয়ারপারসনসহ সারা দেশের বিভিন্ন দলের ২০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৭৮ হাজার মামলা রয়েছে। এগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনের তফসিলের আগে চলমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে।
তৃতীয়ত প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি মিলে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবে। এতে বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিকে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রসহ ৩-৫টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে হবে। যাতে তারা সঠিকভাবে নির্বাচনের জন্য কাজ করতে পারে।
এ ছাড়াও ভোটাররা যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে পারে। পাশাপাশি প্রার্থীরা যাতে সব ভোটারের কাছে ভাট চাইতে পারে সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব শর্তের কথা বলেন।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত তিনবার গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমবার ৭৫ সালে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। এরপর ৯১ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন করে গণতন্ত্রকে ফিরে আনা হয়। এরপর ২০০৭ এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে। এই নিহত গণতন্ত্রকে খালেদা জিয়াই পুনরুদ্ধার করবেন।
অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়েই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার মুক্তির জন্য আইনি সহায়তার পাশাপাশি শুক্রবার সমাবেশ করে যে শক্তি দেখিয়েছে বিএনপি নিয়মতান্ত্রিকভাবে সেই আন্দোলন করে রাজপথে থেকে সেই শক্তি দেখাতে হবে।
বর্তমান সরকারের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে কবরে নিয়ে গেছে। এ কারণে শুক্রবার তিনজন এইচএসসি শিক্ষার্থী মারা গেছে।
‘খালেদা জিয়ার’র সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও দণ্ডাদেশ প্রত্যাহারের’ দাবিতে সভার আয়োজন করে মুন্সীগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম।
সংগঠনটির সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ।